হাওর-এর আগাছা পিউম
ক্লিওম বাংলায় এসে তার নাম নিয়েছে পিউম,
এপ্রিল মাসে বিস্তীর্ণ হাওর,নদীর পাড়, সড়ক, ও সবুজ
ধান ক্ষেতের পাসের জমিতে আগাছা হিসেবে এদের বাড়তে দেখা যায় । পিউম ফুলের সৌন্দর্য সাধারন মানুষের কতটা উপভোগ্য অজানা হলেও সৌন্দর্য শিকারী ফটোগ্রাফারকে
ভিষন আকর্ষণ করে ।হুরহুরীয়া, হুড়হুড়ি, ও ঝরনা ফুল নাম গুলি বাংলাভাষিদের কাছে পরিচিত ।
সৌন্দর্য-র রানী ক্লিওম
হ্যাসলেরিয়ানা
ক্লিওম
হ্যাসলেরিয়ানা আদি
নীবাস গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকা, আমেরিকায় জনপ্রিয় হয় ১৮০০ সালে, আমেরিকার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি টমাস
জেফারসন ক্লিওম ফুলকে
পরিচিত করান, এবং তার বিখ্যাত বাগান বাড়ি ”মন্টিসেলো”তে এই ফুলের চাষ
করেন । এখনও ”মন্টিসেলো”র ক্লিওম
বাগান পৃথিবীর
বহু মানুষকে মুগ্ধ করে । চার রং এর ক্লিউম ফুলের বীজ বাজারজাত করে যাথাক্রমে ইবে ,
মন্টিসেলো
|
Spider Flower |
|
Cleome Hassleriana |
ক্লিওম এর তিন টি
রং এর ফুল গাছের
দেখা মেলে । বেগুনী,গোলাপী
ও সাদা । সহজে এই
গাছ জন্মে এবং অনেক দিন ধরে ফুল ফুটতে থাকে বিধায় ল্যান্ড স্ক্যাপ ডিজাইনার দের সবচেয়ে প্রিয় ফুল ক্লিওম হ্যাসলেরিয়ানা, শুধু রং ই না
ফুলগুলি সুগন্ধযুক্ত,এটাও মনোযোগের কারন ।ফুলে ৫-৭ টি পাপড়ি থাকে, ফুলের গুচ্ছ
থাকে গাছে মাথায়, কিছুটা নীচ থেকে অনেক গুলি লম্বা পাইপ বের হয়, (যাকে আমরা বিড়ালের
গোফের সাথে মিলাতে পারি) যার মাথায় সিডপড গুলো থাকে, পরিপক্ক হলে সরিষা দানার মত বীজ
ছড়িয়ে পড়ে জামিতে এবং গাছ মারা যায় । বীজ পরবর্তিতে জল,বাতাস ও পরিবেশ পেলে নতুন করে
চারা বের হয় । এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ফুলের সময় । এই গাছের রোগ বালাই নাই তেমন । পানি অল্পতে
এরা স্বাচ্ছন্দ, চাহিদা বেশী দিবা আলোকের । বাগানের সীমানায়
এগুলি উপযোগী লম্বা হওয়ার দরুন । প্রজাপতি,হামিংবার্ড,
ও অন্য উপকারী পতঙ্গের আনাগোনা বাড়ে এই ফুলের বিকাশে
।
ক্লিওম
হ্যাসলেরিয়ানা, কে বিভিন্ন নামে
ডাকা হয় এর বেশ
কিছু বৈশিষ্ট্যের কারনে, যেমন: মাকড়সা ফুল,মাকড়সা গাছ,গোলাপী রানী, দাদার গোফ, বিড়ালের গোফ । মারিজুয়ানা ও সিট্রোনেলার গাছের পাতার সাথে এর মিল খুজে
পাওয়া যায় ।
এটি
বাংলাদেশের হাওর অঞ্চল সহ দক্ষিণ এশিয়া
তে দেখা মেলে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন